যে দৈহিক বা শারীরবৃত্তিক আচরণগত বৈশিষ্ট্যাবলী কোনো জীবকে তার পরিবেশের অস্তিত্ব রক্ষায় ও বংশবিস্তারে আরও সুরক্ষিত করে তোলে তাকে অভিযোজন বলে। বিবর্তন, জিন মিউটেশন কিংবা দ্বৈবাৎ পরিবেশ পরিবর্তনে অভিযোজন সুস্পষ্ট দৃশ্যমান হয় । এসব বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয় এবং অনেক প্রজন্ম শেষে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অভিযোজন জীবগোষ্ঠীতে সঞ্চিত হয়ে সুস্পষ্ট হয়। এভাবে জীবসম্প্রদায়ে যে অভিযোজন ব্যবস্থা গড়ে উঠে তা থেকে জীব স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ে এবং প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।
উদ্ভিদের অভিযোজন (Adaptation of Plants)
আবাসস্থলে পানির উপস্থিতির উপর উদ্ভিদের গঠন ও প্রকৃতি নির্ভর করে। যেখানে পানির পরিমাণ সীমিত সেখানে উদ্ভিদের পরিমিত পানি ব্যবহারের কৌশলও রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে উদ্ভিদ পানির প্রাপ্যতা ও ঘাটতি এ দুটির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। পানির এই ভারসাম্য অবস্থা উদ্ভিদের দৈহিক গঠনে নানা বৈচিত্র্য আনে। মাটির পানির পরিমাণের উপর নির্ভর করে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারমিং সব উদ্ভিদকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেন । যথা-
১. জলজ উদ্ভিদ বা হাইড্রোফাইট (Hydrophytes);
২. মরুজ উদ্ভিদ বা জেরোফাইট (Xerophytes);
৩. সাধারণ উদ্ভিদ বা মেসোফাইট (Mesophytes); .
৪. লোনামাটির উদ্ভিদ বা হ্যালোফাইট (Halophytes)।